:
শিরোনাম

বৈষম্যবিরোধী চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলন

top-news
https://maannews.acnoo.com/public/frontend/img/header-adds/adds.jpg

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রথমেই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জুলাই গণ গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদকে, যাদের আত্মত্যাগে আমরা একটি বৈষম্যহীন, স্বৈরাচারমুক্ত স্বপ্নের রাষ্ট্র পেতে চলেছি। গত ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) এর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় আমরা ৪৬,১৯৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হই। গত ৯মে ২০২৪ থেকে ১২জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ পর্যন্ত ৪৬,১৯৯ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় ৩মাস সময় অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুসারে উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে  মহিলা ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ ও পুরুষ ২০ শতাংশ ধার্য রয়েছে যা মেধার চূড়ান্ত অবমাননা বলে আমরা মনে করি। যেহেতু গত ২৩শে জুলাই ২০২৪, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটা সংক্রান্ত পূর্বের সকল পরিপত্র/প্রজ্ঞাপন/আদেশ/নির্দেশ/অনুশাসন রহিত করা হয়েছে, তাই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ৯৩% মেধা ও ৭% অন্যান্য কোটা অনুসরণ করতে আইনগত কোনও জটিলতা থাকার কথা নয়।তাই উক্ত নিয়োগের ফলাফল প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কর্তৃক জারিকৃত কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩℅ মেধা ও ৭℅ অন্যান্য কোটা অনুসরণের দাবিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে ৩দিন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আহবান করেছিলেন আন্দোলনের পরিবর্তে লিখিতভাবে নিজেদের দাবি জানাতে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী মানববন্ধন কিংবা আন্দোলনের পরিবর্তে আমরা মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন জারির আগে অনুষ্ঠিত কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত হয়েছে/প্রকাশিতব্য রয়েছে যেগুলোতে সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হয়েছে অর্থাৎ ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটা অনুসরণ করা হয়েছে; তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (পিএসসি), বিভিন্ন পদের নিয়োগ পরীক্ষা- কর অঞ্চল ১২। 
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য গত ১ ও ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে পালিত আমাদের কর্মসূচীসমূহ প্রথম আলো ও যমুনা টিভিসহ দেশের প্রথম সারির সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলেও কর্তৃপক্ষকে দৃশ্যমান কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এমতাবস্থায় আজকের 'মার্চ টু মিরপুর ডিপিই' কর্মসূচী থেকে আমরা বৈষম্যবিরোধী চাকুরিপ্রত্যাশী আন্দোলন সম্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত ২য় স্বাধীন বাংলাদেশে কোনও বৈষম্যমূলক কোটা থাকতে পারবে না।          আজকের 'মার্চ টু মিরপুর ডিপিই' কর্মসূচী থেকে আমাদের ১ দফা দাবি-
১) প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কর্তৃক জারিকৃত কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩% মেধা ও ৭% অন্যান্য কোটার ভিত্তিতে সকল শূন্যপদের বিপরীতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) এর চূড়ান্ত ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।                                                                                         
ধন্যবাদান্তে-                                                                                                                 

  বৈষম্যবিরোধী চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট জেলার সমন্বয়কবৃন্দ                                               
   (প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) এর ফলাফল প্রত্যাশীগণ) - 
                                         
   ১। কাজল চন্দ্র রায়, লক্ষ্মীপুর (০১৭৩৮-০৯৭৫৩৪)          ৪। আশরাফ উদ্দিন রমিজ, ঢাকা (০১৯৭৬-৭৬৯০১৩)   
    ২। মোঃ মেহেদী হাসান, টাঙ্গাইল (০১৫২১-৭৫৭১৪৩)       ৫। আবু জাফর মোঃ সালেহ, চাঁদপুর (০১৯০৪-৪৭৫৬৩৭)                                                                ৩। রবিউল ইসলাম, মাদারীপুর (০১৮১০-৫৪৪৯০৯)        ৬। আব্দুল্লাহ আল নাইম, ফরিদপুর (০১৭৭২-০৮৬৯০০)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *